আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেওভোগের সড়কে উচ্ছেদ অভিযানে স্বস্তিতে নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দৈনিক সংবাদচর্চায় পত্রিকায় ‘সংঘাত সংঘর্ষের পরও বন্ধ হয়নি সড়ক দখল করে অবৈধ ব্যবসা’ এমন খবর প্রকাশের পরেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর হস্তক্ষেপে নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে শহরবাসী। আইভী তার এলাকা জিমখানা লেকের পাড় জুড়ে রাস্তা দখল করে অবৈধ ব্যবসার সবক’টি দোকান উঠিয়ে দিয়েছে। যার ফলে জিমখানাবাসী মেয়রকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি একটু সময় কাটাতে আসা জিমখানা লেকের পাড় বর্তমানে খালি থাকায় সৌন্দর্য আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় তারা।

গতকাল মঙ্গলবার দেওভোড় জিমখানা লেকের পাড়ের আশপাশ সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লেকের দু’পাশে যে দোকানগুলো ছিলো তা এখন আর নেই। প্রায় সবকয়টি দোকান উঠিয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। যার ফলে, এখন লেকের পাড়ের দুইপাশেই অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

জানা যায়, পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার লক্ষেই মূলত দোকান সড়ানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়। তারপরই সব দোকান গুলো যে যার দায়িত্বে সরিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, মেয়র আইভীর হাত ধরে এখানে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এই শেখ রাসেল নগর পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই দোকান গুলো সড়ানোর প্রয়োজন ছিলো। আর ঠিক সেই কারনেই সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশে সেখান থেকে দোকানগুলো সড়ানো হয়েছে। এখন লেকের পার দেখতে আগের থেকে অনেক সুন্দর লাগছে। তারা বলেন, শুধু লেক পাড় নয় শহরের আরও যে জায়গা গুলোতে রাস্তা দখল করে অবৈধ ব্যবসা করা হচ্ছে। যাদের কারনে শহরের মানুষ গুলোর রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের অতি শীঘ্রই সেখান থেকে যেন উঠিয়ে দেয়া হয়। আর শহরের মানুষ গুলোকে একটু নিশ্বাস নিতে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহেতেশামুল হকের কাছে মুঠোফোন করা হলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, পার্কের আশেপাশে ওই দোকানগুলোর কারনে লেকের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। যার কারনে দোকানীদের নোটিশ পাঠানো হয়। আর নোটিশ পাওয়ার পরপরই তারা দোকনগুলো সরিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে যদি আবার দোকান বসানোর চেষ্টা করে তাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।